SolidBangla Home Page

Shariatpur District

বাংলা সংবাদপত্র শরিয়তপুর সংবাদপত্র শরিয়াতপুর সরকারী তথ্য বাতায়ন বাংলা ওয়াজ শুনুন ফ্রিল্যান্স জবস
Dhaka Division
Dhaka
Faridpur
Gopalganj
Madaripur
Kishoregonj
Manikganj
Munshigonj
Narayanganj
Rajbari
Narsindi
Shariatpur
Gazipur
Tangail
Other Divisions
Barisal Division
Khulna Division
Mymensingh Division
Chittagonj Division
Rajshahi Division

 

শরীয়তপুর জেলা
বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল শরীয়তপুর। পাশ দিয়ে বয়ে চলা খড়স্রোতা পদ্মার পারের সংগ্রামী  মানুষেরা কুল কিনারাবিহীন এ নদীটিকে পারি দেয়ার জন্য যখন পাহারসম ঢেউকে ডিঙ্গিয়ে সামনে এগিয়ে যেত আর তাদের বিশাল নৌকাগুলো প্রচন্ড ঢেউয়ের তালে নারিকেলের খোসার মত দুলতে থাকত তখন তাদের কন্ঠ থেকে বেরিয়ে আসত আব্দুল আলীমের সেই বিখ্যাত গানটি “সর্বনাশা পদ্মা নদী তোর কাছে শুধাই বল আমারে তোর কি কোন কূল কিনারা নাই” এছাড়া খড়স্রোতা মেঘনাও বয়ে গেছে শরীয়তপুরের পাশ দিয়ে। শরীয়াতপুর জেলার আয়তন ১৩৬৩ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৮৫০ জন। শরীয়তপুরের উত্তরে পদ্মা নদী এবং তার ওপারে মুন্সিগঞ্জ জেলা। দক্ষিণে বরিশাল জেলা, পূর্বে মেঘনা নদী এবং তার ওপারে চাঁদপুর জেলা আর পশ্চিমে মাদারীপুর জেলা। ছয়টি উপজেলা নিয়ে শরীয়তপুর জেলা গঠিত। শরীয়তপুর জেলাটি ছয়টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এগুলো হল শরীয়াতপুর সদর, জাজিরা, ডামুড্ডা, গোসাইরহাট, ভেদরগঞ্জ এবং নড়িয়া উপজেলা।

তিহাস ঐতিহ্য:
প্রাচীনকালে পুরো বৃহত্তর মাদারীপুরের নাম ছিল ইলিপুর যা কোটালিপাড়া বা চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কালক্রমে এ অঞ্চলটি বিক্রমপুর রাজ্যের অধীরে আসে যখন তার নাম ছিল কেদারপুর। পলাশীর যুদ্ধ উত্তর বৃটিশ আমলে শরীয়াতপুর এবং ফরিদপুরের দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে ঢাকা নিয়াবত গঠন করা হয়। শরীয়তপুর জেলাটঁ এক সময় বৃহত্তর বিক্রমপুরের অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তীতে প্রশাসনিক সুবিধার জন্য এ অঞ্চলকে বাকেরগঞ্জ তথা বর্তমান বরিশালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু এ অঞ্চলের মানুষের ক্রমাগত আন্দোলনের কারনে ১৮৭০ সালে মাদারীপুর মহকুমার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ফারায়েজি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হাজী শরীয়তুল্লাহর নামানুসারেই মূলত শরীয়তপুরের নামকরন করা হয়। হাজী শরীয়তুল্লাহর ক্রমাগত দাওয়াতী আন্দোলনের কারনে এ অঞ্চলের মানুষের ব্যপক পরিবর্তন হয়েছিল। তাদের মধ্যে প্রকৃত ইসলামী জ্ঞানের ব্যপক প্রসার লক্ষ করা যায়। তাছাড়া পরবর্তীতে তারা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনেও অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।

দর্শনীয় স্থান:
শরীয়তপুর কোন পর্যটন স্পট নয়। কিন্তু তারপরও সুজলা সুফলা বাংলাদেশের কোন অঞ্চলই এমন নয় যেখানে দেখার মত কিছু নেই। হোক সেটা কৃত্রিম কিংবা প্রাকৃতিক। শরীয়তপুরের অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান হল মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম। প্রায় ৫০ একর জমির উপর নির্মিত এ পর্যটন স্পটটির নির্মাতা মডার্ন হারবাল গ্রুপ। মোটামোটি আধুনিক সুবিধা স্মবলিত এ পার্কটি শুধু শরীয়তপুর নয় বরং আশেপাশের মানুষের কাছেও অনেক বেশি পছন্দের। এছাড়াও ধানুকা মনসা জমিদার বাড়ি, রুদ্রকর মঠ, বুড়ির হাট জামে মসজিদ এবং সুরেশ্বর দরবার শরীফ এ অঞ্চলের অন্যতম,অ দর্শনীয় স্থান।

যাতায়াত:
ঢাকা থেকে শরীয়তপুরে যাতায়াতের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে বড় বাধা হল সরবনাশা পদ্মা নদী। পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে এ অঞ্চলে যাতায়াত করতে এক ঘন্টার মত সময় লাগবে। তবে লঞ্চ, ফেরি বা স্পিড বোটে নদী পার হয়ে বর্তমানেও খুব কম সময়ের মধ্যেই শরীয়তপুরে যাতায়াত করা যায়।

শরিয়তপুর স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন।

For any suggestions or comment, please contact us. Thanks